কীটপতঙ্গের কাছে এক বিচিত্র বুদ্ধিমত্তা: বিড়ালের মনস্তাত্ত্বিক সংকেত
অবাক করে দেওয়ার মতো এক প্রকাশ্যে, ছোট্ট বিড়ালটি আগ্রাসী কিন্তু সাদাসিধে স্টাইলে লাফিয়ে উঠছে। মাটির উপর দিয়ে হাঁটা, তার বড় বড় চোখ যেন প্রশ্নবিদ্ধ আবেগের এক সমুদ্র; জানিয়ে দিতে চায়, 'আমি এখানে আছি, তবে কীসের জন্য?' পুরোনো চা পটের পাশে দাঁড়ানো, এই চিত্রের মধ্যে একটি বিশেষ মূহুর্ত হিসাবে তার কান্নাকাটি যেন পরিবেশের সামান্য প্রতিধ্বনি। বিড়ালের এই কমনীয় ও আড়ম্বরপূর্ণ উপস্থিতি আমাদের সোমবারের সকালে একটু হাসি যোগিয়েছে।
বিড়ালের ভাবনা অনেকটা রহস্যময়, এবং তার চোখের ভিতরে দেখা যায় এক ধরনের অসন্তোষ। কেননা, ক্যাটসের উপর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, তারা যখন বোধগম্য হয়, তখন তাদের মস্তিষ্কে একটি নিখুঁত মাপের উদ্বেগের হরমোন, কর্টিসলের মাত্রা বাড়তে থাকে। সাধারণত, বিড়ালগুলো মাঝেমধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট ধরে যাবতীয় পরিবেশের প্রতি মনোনিবেশ করে, যা তাদের মনস্তাত্ত্বিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক। এই সময়সীমার মধ্যেই তাদের মনের গতিবিধি এবং সেটি তারা কেমনভাবে প্রকাশ করছে, রিপোর্ট করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি আপনার বিড়ালের মনঃসংযোগের হার বাড়াতে চান, তবে এটি বোঝা দরকার যে তিনি আক্রমণাত্মক আচরণ দেখাতে পারেন। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ালরা সাধারণত ১০ বার পর্যন্ত তাদের খাবারের প্রতি মনোযোগ দিলেও, তাদের খাওয়ার সময়সীমা মাত্র ১২ থেকে ১৫ মিনিট। এটি বলছে যে খাবারের প্রতি তাদের মনোযোগ কম হয় এবং দ্রুত সরে যেতে পারে, যা তাদের আচরণের জন্য একটি নমনীয় দৃষ্টিকোণ ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য।
বিড়ালের এই আচরণগুলি বিশ্লেষণ করার সময় কিছু সহজ কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে, মৃদু শব্দ ও আলোর সংবেদনশীলতা বাড়ানোর জন্য তাদের কাছাকাছি থাকার জন্য উপকরণ ব্যবহার করুন। মনে রাখবেন, বিড়ালের অনুভূতি বোঝার জন্য তাদের পরিবেশ তৈরি করার পদক্ষেপ নিন। যখন আপনি তাদের কাছে স্বচ্ছন্দ আচরণ দেখান, তখন তাদের স্বতঃস্ফূর্ততা বৃদ্ধি পাবে। একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে, যখন বিড়ালদের ৭৫% ক্ষেত্রেও কম গোলগুলি আস্তে আস্তে সাজানো হয়, তখন তারা আরও বেশি সংশ্লিষ্ট হয়।
এই নিমেষের মধ্যে, বিড়ালের আচরণ আমাদের মানব মনোবিজ্ঞানের এক পরিসরকে প্রতিফলিত করে। যে সংলাপ আমরা পশুদের সঙ্গে তৈরি করি, সেটি আমাদের নিজেদের ভেতরের উদ্বেগ এবং আনন্দগুলির সম্পর্কে অভিজ্ঞান যোগায়। তাদের সাধারণ জীবনযাপনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, মানবিক অনুভূতিও কিছুমাত্র অদ্ভুত নয়। প্রতিটি বিড়ালের চোখে আসলে আসলে আমাদের নিজেদের মনের ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়, যতক্ষণ তাদের বেড়াশেও থাকা অনুভূতির সাথে সংযুক্ত থাকার যাত্রা সম্ভব।