একটি ব্যতিক্রমী খাবারের গল্প হচ্ছে হাঁসের ডিম। এই ডিমগুলি সাধারণ মুরগির ডিমের থেকে প্রায় ৭০% বড়, এবং তাদের স্বাদ রয়েছে এক ধরনের মিষ্টি ও কর্কশ মিশ্রণ যা অনেক রান্নায় বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। হাঁসের ডিমে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ সাধারণ মুরগির ডিম
যখন হাঁসের ডিম ফেটানো হয়, তখন তার সাদা অংশে প্রোটিনের একটি অদ্ভুত গুণ প্রকাশ পায়। এখানে প্রোটিনগুলো বিভিন্ন দিকে সংগঠিত হয়ে একটি গন্ধবিহীন ফোস্কা তৈরি করে, যা নিখুঁত ফ্লাফি ডিশ তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। দুই গ্লাস হাঁসের ডিম একটি যেমন রান্নার সময় ব্যবহৃত হয়, তেমনি এটি কাস্টার্ড বা কেকের মিক্সচার অসম্ভব সুস্বাদু করে তোলে।
এদের একটি অদ্ভুত এবং আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো, হাঁসের ডিম রান্নার সময় গরমে খুব দ্রুত বসন্ত হয়ে যায়। মানে, এর মধ্যকার প্রোটিনগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি স্থির এবং চমৎকার গঠন তৈরি করে। এদের স্বাদ ও গন্ধ এতটাই বিশেষ যে অনেক শেফ একে ‘স্বর্গীয়’ হিচাবেও উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য এটি একটি অনন্য টুকিটাকি উপকারী খাদ্য, তবে কিছু মানুষের কাছে এই ডিমের স্বাদ প্রাথমিকভাবে অচেনা। কিন্তু একবার যদি কেউ চেষ্টা করেন, তবে তারা বুঝবেন যে, এই পুষ্টিকর খাবারটি তাদের খাবারের তালিকায় একটি অপরিহার্য স্থান করে নিতে পারে। হাঁসের ডিমের এই রহস্যময় স্বাদ ও বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রত্যক্ষ পরিবর্তন আনতে সক্ষম।