শ্বেত করককে উড়ন্ত অবস্থায় দেখলে, মনে হয় যেন এক সদা-গমনশীল সৌন্দর্য। কান্ড ছাড়া একটি পা সম্বলিত তার ভাসমান শরীরটি, গভীর নীল জলের প্রান্তে জেল্লা মেলে রাখতে ভাসছে। তার চোখগুলো যেন ঠিক এই সেকেন্ডে একটি নতুন আকাশ খুঁজে বেড়াচ্ছে, আর প্রদীপ্ত ঠোঁটটি ইয়েলো রঙের স
শ্বেত করকের এই উড়াল, কেবল অভ্যাসগত নয়; বরং গভীর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা নির্দেশ করে। স্ট্রেস বা উদ্বেগের মধ্যে থাকা এই পাখীগুলোর চোখের প্রতিক্রিয়া সাধারণত 20% বেশি উদ্বিগ্ন থাকে। তাদের গোছানো, এবং অদম্যভাবে পাশের দিকের খাবারের সন্ধানে নজর দিতে থাকে। উড়তে উড়তে, যে ভঙ্গি ও দৃষ্টির তীব্রতা লক্ষ্য করা যায়, তা সম্ভবত তাদের অভিজ্ঞান প্রকাশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শ্বেত করক অতীতে 60%-এর বেশি ক্ষতি হতে পারে এমন শিটি অঞ্চলে প্রবেশ করে; অধিকাংশ সময় খাদ্যের জন্য সংগ্রাম করে।
অণুজীববিজ্ঞানীদের মতে, সতর্কতা বা বিপদের সঙ্কেত সামর্থ্যে প্র্রাযুক্তির মতো একটি আচরণগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মানবসমাজের মধ্যে, এই অনুরূপ আচরণ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনেও দেখা যায়; একটি কৌশলগত বিষয় বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে আমাদের মনেও একটি ঝুঁকি অনুভব হয়। এমনকি, কোনো পরিস্থিতিতে ‘বাঁচা’র জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে সহায়ক।
শেষে, প্রতিটি শ্বেত করক যেন আমাদের মানুষদের দিকে একটি বার্তা পাঠিয়ে যাচ্ছে; নিজেদের নিরাপত্তার প্রতি যত্নবান হতে এবং প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সজাগ থাকতে হবে। জীবনের প্রত্যেক ক্ষণে আমাদের অনুপ্রাণিত হতে হবে, যদিও তা কখনো চাপের মধ্যে অতি মৃদু এলোমেলো হয়ে যায়।