একটি অদ্ভুত ফলের বৈজ্ঞানিক রহস্য
জীবন জঙ্গলে অনেকটা আড়ালে চলে যায় যখন আমরা সাধারণ ফলের কথা ভাবি। কিন্তু জঙ্গলের সবচেয়ে অদ্ভুত এবং আকর্ষণীয় অংশগুলির মধ্যে একটি হলো অহলাবোটকি, বা যাকে শহুরে নামকরণে বলা হয় ‘ম্যাঙ্গোস্টিন’। এটি এক ধরনের ফল, যা দৃশ্যত একটি অদ্ভুত রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠেছে, কারণ এটি প্রচণ্ড পুষ্টিকর এবং এতটাই সুস্বাদু যে জঙ্গলবাসী বানরদের কাছে জন্ম-মৃত্যুর মতো অপরিহার্য। বিজ্ঞানীদের মতে, ১৯৫১ সালে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে ম্যাঙ্গোস্টিনে অ্যান্থোসায়ানিনের স্তর ৯০ মিলিগ্রাম প্রতি ১০০ গ্রামে, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে এবং শরীরের জন্য তা অত্যন্ত উপকারী।
ম্যাট্রিক্সে যেমন নীল এবং লাল পিলের গল্প, তেমনি এই ফলটি বিভিন্ন স্বাদের দ্বারে আমাদের ডাকে। প্রথম কামড়টি চিনির স্বেত সুখ ইত্যাদির সাথে দাঁড়িয়ে থাকে, যেন তা আমাদের শরীরে প্রভাব ফেলে। কিন্তু এর সঙ্গে স্বাদের একটি বৈসাদৃশ্যও রয়েছে, যে কারণে অনেকেই একে বেশি অপছন্দ করে। এ রকম বিশিষ্টতার জন্য গবেষকরা ধারণা করেন, এর স্বাদ ভাঙা পদ্ধতির ভেতর মাঝে মাঝে মারাত্মকভাবে অনুজীব দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে, যা আমাদের দেহে বিষক্রিয়া ঘটায়।
জঙ্গলপথে ঘুরেফিরে ম্যাঙ্গোস্টিনের দেখা পেতে পেতে, আমরা গভীরভাবে নানা রকম খাবারের মধ্যে আশ্রয় খোঁজার সময় অনুভব করি। শেষ পর্যন্ত এই ফলটির সরলতার ভেতরে লুকিয়ে রয়েছে অজানা বৈশিষ্ট্য, যা আমাদের রান্নাঘরের বাইরে, আমাদের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। যখন আমরা বন্য প্রকৃতির হাত থেকে কিছু পেয়ে যাই, তখন আমাদের মনে হয়, স্বাদ এবং যোগ্যতার এই সংযোগ সত্যিই আমাদের সৃষ্টির এক ভিন্ন মাত্রা উপহার দেয়।