শোবার খাটে বাড়ির একটি শান্ত কোণে, একটি প্রাচীন ক্যাট বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছে একটি হালকা বাতির নিচে। বাথটাবে বিশাল এক নাটকীয়তায় সে শান্তভাবে বিশ্রাম নিচ্ছে, যার প্রান্তে তার পশমের গাঢ় রঙের ভাঁজগুলো তার ছটাকৃতি হিসেবে একটি ছবি ফুটে উঠেছে। এই চিত্রের মাধ্যমে আ
বিড়ালদের মধ্যে নিজের প্রাচুর্যের প্রতি সচেতনতা লক্ষণীয়। তাদের পরিবেশের সুযোগগুলো তারা সর্বদা খুঁজে বের করে। তাদের চোখে মানুষের থেকে ভিন্নভাবে পৃথিবীকে দেখা যায়। তারা পরিবেশের প্রতি সজাগ থাকে এবং নিজেদের মতো করে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়, যেমন চুপচাপ বসে অথবা আঘাত থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা। এই অকপটতার মাধ্যমে তারা নিজের অস্তিত্বের মধ্যে একটি অসাধারণ সংযোগ খুঁজে পায়।
অবশ্য, বিড়ালের এই সাধারণ অভ্যাসের পেছনে এক অদ্ভুত বিজ্ঞান কাজ করছে। বিড়ালের মধ্যে সংবেদনশীলতার মাত্রা অন্যান্য প্রাণীদের তুলনায় বেশী। তাদের অনুভূতি এবং অনুভব করার ক্ষমতা পরিবেশের প্রতি তাদের মনোযোগকে artırে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। যেমন আরও একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়ালরা যখন নিজেদের ব্যবস্থাপনায় থাকেন, তখন তাদের হৃদস্পন্দন কমে যায়, যা তাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
এখন, যখন আমরা আমাদের সঙ্গীর এই থমকে থাকা অবস্থান দেখি, সেটাকে শুধুমাত্র একটি স্বাভাবিক বিড়াল কাঁচের মতো চিন্তা করা উচিত নয়। তার অবস্থান এবং মনোভাবের মাধ্যমে, সে বাস্তবতাকে চ্যালেঞ্জ জানায় এবং সেই সাথে আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, প্রকৃতির মধ্যে বাস করা কিভাবে একটি সত্যিকার অভিজ্ঞতা হতে পারে। সংখ্যাতাত্ত্বিক দিক দিয়ে বলতে গেলে, একটি বিড়ালের গড় জীবনকাল ১৫ বছর, যা মানে প্রায় ৫,৫০০ দিন, মাতালে তাদের জীবনে এই ছোট ছোট উপভোগ্য মুহূর্তগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ।